মহান আল্লাহ মানুষকে সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের মধ্যে সঙ্গপ্রিয়তা ও সংঘবদ্ধতা সৃষ্টি করেছেন। মানুষ স্বভাবতই সামাজিক প্রাণী। সে সমাজের বাইরে বাস করতে পারে না। এমনকি সংসার ত্যাগী সাধকও বিশ্বপ্রকৃতি ও এর সৃষ্টিকর্তার সাথে একটি মনােদৈহিক সমাজ সৃষ্টি করেই বেঁচে থাকে। আলকুরআনে বলা হয়েছে, “হে মানুষ! তােমরা তােমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তােমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর যিনি সৃষ্টি করেছেন সেই এক ব্যক্তি থেকে তার জোড়া, এরপর তাদের দু'জন থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন অসংখ্য পুরুষ ও নারী। [আল-কুরআন, ৪। ১) মহান আল্লাহর সৃষ্টিকৃত এ প্রকৃতির কারণে পার্থিব জীবনের শুরু থেকে মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাসের উদ্যোগ গ্রহণ করে। শুরুতে সমাজের আকৃতি ও ব্যাপ্তি ক্ষুদ্র ছিল।

মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সমাজের | বিস্তৃতি ঘটেছে। ক্রমশ ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন সমাজের পত্তন হয়েছে। পরিবেশগত প্রতিকূলতার মােকাবেলা করা, হিংস্র জীব-জন্তুর আক্রমণ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করা এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পর নির্ভরশীলতা মানুষের সমাজবদ্ধ বসবাসকে আবশ্যক করে তােলে। বাস্তব পরিস্থিতি, অভিজ্ঞতালব্ধজ্ঞান এবং সামাজিক পরিবর্তনের প্রভাব মানুষের সমাজবদ্ধ বসবাসের ধারাকে ক্রমশ সুসংহত ও সংগঠিত করে। সমাজ মানুষের বৃহত্তর মানবীয় প্রতিষ্ঠান। প্রয়ােজন পূরণের তাগিদ থেকে এর অস্তিত্ব ও স্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। মানুষের ব্যক্তিক ও সামষ্টিক জীবনধারায় সমাজের তাই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

• নাম : ইসলামের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস
• লেখক: ড. মোঃ ইব্রাহীম খলিল
• লেখক: প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান
• প্রকাশনী: : অপটিমাম পাবলিকেশন্স
• পৃষ্ঠা সংখ্যা : 448
• ভাষা : bangla
• ISBN : 9789849390909
• বান্ডিং : hard cover
• প্রথম প্রকাশ: 2019