১৫ আগস্ট ট্রাজেডি জাতির জনক হত্যার রক্তাক্ত অধ্যায়
“১৫ আগস্ট ট্রাজেডি জাতির জনক হত্যার রক্তাক্ত অধ্যায়" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী চক্রান্তকারীরা নৃশংসভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। অথচ বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে জড়িয়ে তিনি ৪৭, ৫২, ৬৯, ৭০ সহ বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর দ্বার হতে বারবার ফিরে এসেছিলেন। ৭১-এ পাকিস্তানি হায়েনারা যা করতে পারেনি, সেই কাজটিই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায়, নৃশংস ও পরিকল্পিতভাবে সম্পাদন করে কিছু পথভ্রষ্ঠ বাঙালি ঘাতকরী।
তাদের বর্বরতা থেকে সেদিন দুগ্ধপােষ্য শিশু, নববধূ, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও নারীরা কেউই রেহাই পায়নি। সেদিন ঐ ঘাতকেরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির বিভিন্ন ঘরে ও বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং নিকট আত্মীয়সহ মােট ২৬ জনকে হত্যা করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সে কালােরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিহত হন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রােজী। জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্নেল জামিল, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক। প্রায় একই সময়ে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণি এবং বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় পৃথক হামলা চালায়।
ঘাতকদের হাতে নিহত হন শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় বেন্টু খান। সেদিন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। পৃথিবীর ইতিহাসে যতগুলাে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১৫ আগস্টে জাতির জনকের সপরিবারে হত্যা সব ভয়াবহতা ছাড়িয়ে যায়।
- নাম : ১৫ আগস্ট ট্রাজেডি জাতির জনক হত্যার রক্তাক্ত অধ্যায়
- সম্পাদনা: শাহজাহান মানিক
- প্রকাশনী: : মুক্তদেশ প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 253
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849264022
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2017





