বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই যুবক। তারাই আগামীর পৃথিবী গড়ার কারিগর। এজন্য যুবউন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে গ্রহণ করা হয় বহুমাত্রিক কর্মসূচি ও প্রকল্প। যাতে করে যুবসমাজ বিপদগামী না হয়ে শক্তি সামর্থ্য ও সততাকে দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যয় করতে পারে। এতোকিছুর পরেও বর্তমান যুবসমাজের একটি অংশ বিপথগামী হয়ে যায়। তাদের মাঝে ভর করে ইসলাম নিয়ে অজ্ঞতা, কর্মহীনতা, অশ্লীলতা ও বেহায়পনা। ফলে সামাজিক অবক্ষয় দেখা দেয়। যুবসমাজের অবক্ষয় রোধ করে চরিত্রবান জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার গাইড লাইন বাস্তবে দেখিয়ে গেছেন মুহাম্মদ ﷺ। প্রিয় নবীর নির্দেশনার আলোকে যুব উন্নয়ের নববী রূপরেখার প্রয়াসে এই গ্রন্থটি সাজানো হয়েছে।

যুবসমাজের চল্লিশ হাদীস গ্রন্থটি মূলত একটি হাদীস সংকলন। এখানে মহাসাগর সেচে মানিক কুড়ানোর মতো হাদীসের মৌলিক বিভিন্ন সংকলন থেকে যুবকদের সাথে সম্পৃক্ত কিছু হাদীস সংগ্রহ করে তার ব্যাখ্যা ও শিক্ষা আলোচনা করা হয়েছে।

এর নামকরণে চল্লিশ হাদীস বলা হলেও মূলত চল্লিশটি শিরোনামের অধীনে ৫৫টি হাদীসের সংকলন ও ব্যাখ্যা গ্রন্থ এটি। কখনো কখনো একটি শিরোনামে একাধিক হাদীস চলে এসেছে। যেমন সর্বশেষ অর্থাৎ ৪০তম শিরোনাম “যুব সমাজের প্রতি বিশেষ উপদেশ” এর অধীনে ইবন আব্বাস, মুআয ইবন জাবাল, আবু যার, উমর ইবন আবি সালামা, খাব্বাব ইবন আরত" এ ৫জন সাহাবীকে দেয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপদেশ সম্বলিত ৫টি হাদীস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

সংকলনটি ৪টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন...

•যৌবনের গুরুত্ব

•নন্দিত ও নিন্দিত কিছু যুবক

•ইসলামের প্রচার- প্রসারে যুব সমাজের অবদান

•যুব উন্নয়নে নববী রূপরেখা।

যুবসমাজের প্রত্যেক সদস্য যিনি যে অবস্থানেই থাকুন, নির্বাচিত হাদীসের ব্যাখ্যা ও শিক্ষার এ সংকলনটি থেকে উপকৃত হবেন আশাকরি। যুবকদের মান উন্নয়নে নিয়োজিত সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সমূহের সহায়ক হবে যুবসমাজের চল্লিশ হাদীস গ্রন্থটি।

কিতাবটি প্রণয়ন করেছেন প্রথিতযশা আলিম লেখক ও গবেষক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন রব্বানী হাফিজাল্লাহ্। শিক্ষকতা ও লেখালেখির পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শরীয়া বোর্ডের সদস্য হিসেবে প্রশংসিত ভূমিকা রেখে চলেছেন।