এই আইনের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য দুইটি। প্রথম বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য হইতেছে, সকল জমিদার, তালুকদার, হাওলাদার, গাতিদার, দরতালুকদার, দরহাওলাদার প্রভৃতি সকল শ্রেণীর খাজনা গ্রহণের অধিকার অধিগ্রহণ করা। ইহারা ব্যতীত অন্য যাহারা খাজনা আদায়ের অধিকার রাখিতেন তাহাদেরও খাজনা আদায়ের অধিকার অধিগ্রহণ করাও এই আইনের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য। অনেক রায়ত বা প্রজা খাজনার বিনিময়ে জমি পত্তন দিতেন এবং এইভাবে খাজনা আদায়ের অধিকারী হইতেন। ইহাদের খাজনা আদায়ের অধিকার লোপ করাও এই আইনের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য। জমির উপর অন্যান্য কতিপয় স্বার্থ এবং অধিকার অধিগ্রহণও এই আইনের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য ।

এই আইনের দ্বিতীয় বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য হইতেছে, জমিদারী প্রভৃতি অধিগ্রহণের পর প্রজাস্বত্ব সম্পর্কে বিধান প্রদান করা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন কৃষিজমি সম্পর্কে উপরে আছেন সরকার এবং নিচে আছেন মালিক, ইহাদের মাঝখানে আর কেহ নাই। আগের দিনে এই আইন যাহাকে মালিক বলিতেছে তিনি রায়ত নামে পরিচিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিকবোধে সম্পত্তি অধিগ্রহণ বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ মৎপ্রণীত, ভাষ্যসহ নিম্নে

• নাম : ভূমি আইনের ভাষ্য
• লেখক: গাজী শামছুর রহমান
• প্রকাশনী: : খোশরোজ কিতাব মহল
• পৃষ্ঠা সংখ্যা : 632
• ভাষা : bangla
• ISBN : 9844380316
• বান্ডিং : hard cover
• শেষ প্রকাশ : 2015